পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আস্থার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো কাক্সিক্ষত ডিপোজিট না পাওয়ায় এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সঙ্কট, কম ঋণ আদায়, তারল্য সঙ্কট, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ, মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই ব্যাংকগুলো। (আমার সংবাদ ০৩-০৭-২০২৪)
এই সাতটি ব্যাংক হলো আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সর্বশেষ লেনদেনের হিসেবে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর এখন ৯ টাকা ৮০ পয়সা, এনআরবিসি’র ৯ টাকা ৯০ পয়সা, এবি ব্যাংক ৬ টাকা ৬০ পয়সা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৬টাকা ৫০ পয়সা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক মাত্র ৩ টাকা ৩০ পয়সা, ওয়ান ব্যাংক ৬ টাকা ৪০ পয়সা ও ইউনিয়ন ব্যাংক ৭ টাকা।
এদিকে চরম দুরাবস্থায় থাকা কিছু ব্যাংক নানাভাবে তাদেন ক্রেডিট রেটিং ‘এ প্লাস’ দাবি করে প্রচারণা চালায়। এতে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়। ক্রেডিট রেটিং হলো কোনো ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা বা ঋণ নিলে ঠিক সময়ে পরিশোধ করার ক্ষমতা কতটা আছে সেটার মানদণ্ড। (সময়ের আলো ০২-০৭-২০২৪)
শেয়ার বাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, কিছু লোকাল কোম্পানি এই ক্রেডিট রেটিং করে থাকে। অনেক সময় এসব রেটিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র পেতে হলে ডিপোজিট বেড়েছে কিনা সেটা দেখতে হবে। (রাইজিং বিডি ০৩-০৭-২০২৪)
এ ব্যাপারে ডিএসই’র পরিচালক শরীফ আনোয়ার বলেন, শুধুমাত্র সাত ব্যাংক নয়, বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদরই এখন ১০ টাকার নিচে। শেয়ারবাজারের অবস্থা ভালো হলে এগুলোর দর বাড়বে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে হবে। আর বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিলে শেয়ারদরও বাড়বে।
Leave a Reply